সূরা গাফিরের এই গুরুত্বপূর্ণ আয়াতটি পড়লে রিজিক বৃদ্ধি পায়, নেক স্ত্রী পাওয়া যায়, সু সন্তান হয় আল্লাহর রহমতে


⚜️আস্সালামুআলাইুম⚜️ বন্ধুরা ! কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভালো আছেন।  

•••••••• { Onlineinventionbd ~ is one of the best useful news™, Online Earning, BD Government jobs, update tips & tricks based website in Bangladesh } •••••••••

সূরা গাফিরের এই গুরুত্বপূর্ণ আয়াতটি পড়লে রিজিক বৃদ্ধি পায়, নেক স্ত্রী পাওয়া যায়, সু সন্তান হয়।




  
⭐সূরা গাফিরের এই গুরুত্বপূর্ণ আয়াতটি পড়লে রিজিক বৃদ্ধি পায়, নেক স্ত্রী পাওয়া যায়, সু সন্তান হয়।


আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।

⭐সূরা গাফিরের গোপন আয়াত
আল্লাহ তায়ালা প্রতি ভরসা করা ছাড়া কোনো বান্দা কোনো মূহুর্ত অতিবাহিত করতে পারেন না। আল্লাহ ওপর ভরসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহর তাওহিদের সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় ও গভীর হয়।

⭐উচ্চারণ বাংলায়ঃ ওয়া উফাওইদু আমরীয় ইলাল্লাহ , ইন্নাল্লাহা বাছীরুম বিল ইবাদ অউফাও ওয়িছু আশ্ৰী য় ইলা ল্লা - হু ; ইন্না ল্লা - হা বাছীরুম্ বিল্ ইবাদ । 


⭐বাংলা অর্থঃ আমি আমার ব্যাপার সবকিছু আল্লাহর নিকট সমর্পণ করছি , নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সবিশেষ দৃষ্টি রাখেন । 

 
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন → আর ভরসা করো সেই জীবিত সত্ত্বার (আল্লাহর) ওপর, যিনি কখনো মৃত্যু বরণ করবেন না। (সূরা ফুরকান ৫৮) বর্ণিত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নবী (সাঃ) কে তার ওপর ভরসা করার আদেশ করেছেন।

কেউ আল্লাহর উপর ভরসার দোহাই দিয়ে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকাকে ধার্মিকতা মনে করছে। আবার কেউ নিজের কর্মক্ষমতায় অতি বিশ্বাস হয়ে নগদ যা পাও হাত পেতে নাও, বাকীর খাতায় শূন্য থাক, দর্শনে কবলে বস্তুবাদী উচ্ছৃঙ্খল জীবন বেছে নিয়েছে।

•••••••• { Onlineinventionbd ~ is one of the best useful news™, Online Earning, BD Government jobs, update tips & tricks based website in Bangladesh } •••••••••


 
হযরত আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ এক ব্যক্তি (আল্লাহর উপর নির্ভর করার ধরন প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করে) বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি উট বেঁধে আল্লাহর উপর নির্ভর করব,নাকি আমার উট ছেড়ে দিয়ে নির্ভর করবো? উত্তরে মহানবী (সাঃ) বলেন → বরং তুমি উট বেঁধে আল্লাহর উপর ভরসা কর। (তিরমিজি হাদিস নাম্বার ২৫১৭)

⭐রাসূলে পাক (সাঃ) এর এই একটি ছোট হাদিসকে ভিত্তি করে তিনি তার দর্শন দাঁড় করিয়েছেন। অর্থাৎ বেদুইন যখন হযরতের দরবারে আসলেন। হজরত তাকে জিজ্ঞেস করলেন তোমার বাহন উট কোথায় রেখেছে? বেদুইন সাহাবি বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মসজিদের বাইরে খোলা অবস্থায় রেখেছি। আমি আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আল্লাহই দেখবেন আমার উট। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তখন বললেন , আগে তোমার উটের পা বাঁধা, তারপর তাওয়াক্কুল কর।

⭐এই হাদিস অনুসারে, হযরত মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমী উপদেশ দিচ্ছেন যে, যদি তাওয়াক্কুল কর তো কাজের মধ্যে কর /চাষ কর তারপর আল্লাহর উপর ভরসা কর।

হযরত মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমীর বক্তব্য হল, তকদীরে বিশ্বাস মানে অকর্মন্য হয়ে পড়ে থাকা নয়,বরং সংগ্রাম, সাধনা, অধ্যাবসায় ও কর্মময় জীবনও আল্লাহর উপর ভরসার ভাবার্থের মধ্যে শামিল।আল্লাহর উপর ভরসার ভাবার্থের মধ্যে শামিল চেষ্টার পথে অগ্রসর হলেই তাকদীর বা ভাগ্যলিপির অজানা সত্যগুলো প্রকাশিত হবে মানুষের জীবনে।

হযরত মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমীর এ দর্শন মূলত তকদীর সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) এর উজ্জীবনী শিক্ষা ও নির্দেশনার শৈল্পিক প্রতিধ্বনির।বুখারী ও মুসলিম শরীফ বর্ণিত এক হাদিসে বিষয়টি এভাবে উপস্থাপিত হয়েছে :

হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল (সাঃ) বলেছেন → তোমাদের মধ্যে এমন কোন লোক নাই, যার বাসস্থান হিসেবে জান্নাত বা জাহান্নাম লিপিবদ্ধ করা হয়নি।

⭐তখন সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন → হে আল্লাহর রসূল (সাঃ) তাহলে কি আমরা সে (অদৃষ্টের) লেখার উপর ভরসা করে আমাদের সকল প্রকার আমল ছেড়ে দেব না? রাসূল (সাঃ) বললেন → না, তোমরা আমল করতে থাক। কেননা, প্রত্যেক লোকের জন্য সেটিই সহজ করে দেয়া হয়, যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। যে ব্যক্তি পূন্যবান হয়! তার জন্য নেক কাজ করা সহজ হয়ে যায়। আর যে লোক পাপী ও বদবখত হয় তার জন্য পাপের কাজ করাই সহজ হয়ে যায়।

অতঃপর নবী (সাঃ) প্রমান স্বরূপ কুরআন মজীদের এ আয়াত পাঠ করেন। আল্লাহ বলেন → যে দান করে এবং খোদাভীরু হয় আর উত্তম বিষয়কে সত্য ভেবে গ্রহন করে, আমি তাকে সুখের বিষয়ের জন্য পথ সহজ করে দেব। আর যে কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয় এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে, আমি কষ্টের বিষয়ের জন্য তার পথ সহজ করে দেব। ( সূরা আল লাইল আয়াত ৫)

তাওয়াক্কুল সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছেঃ

যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। (সূরা তালাক আয়াত ৩) অন্য আয়াতে এসেছে : তুমি কোনো সংকল্প করলে আল্লাহর ওপর ভরসা করো। ( সূরা আলে ইমরান ১৫৯)

⭐এতো প্রসঙ্গ হাদিস কোরআনের আয়াত আজকের আর্টিকেলে আনার উদ্দেশ্য হলো আপনার নিয়ত যেন পরিস্কার থাকে। আপনি যেন অসলতায় বসে থেকে জীবন উন্নতি করার আশা না করেন, আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং আপনি যেন আল্লাহর আমলের উপর পূর্ন একিন ও বিশ্বাসের সাথে আমল করতে পারেন, তাই উক্ত প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।

তো আসুন আজকে আমরা জেনে নিই, সূরা গাফিরের সেই কাঙ্ক্ষিত আয়াতটি যেটি দিনে ও রাতে যেকোনো ফরজ নামাজের পর ৭বার পড়বেন। তাঁর আগে নূন্যতম ৩ বার দুরুদ পড়বেন এবং আয়াতটি ৭বার পড়ার পর আবার ৩ বার দুরুদ পড়বেন।


⭐তারপর মোনাজাতে আল্লাহর নিকট নিজের মনের ইচ্ছে আকাঙ্ক্ষা আশা ভরসার ইত্যাদি কথা গুলো আপনি আল্লাহর দরবারে শপে দিবেন। ইনশাআল্লাহ একিন ও বিশ্বাসের সাথে আমলটি ২১ দিন করে যান বা তাঁর বেশি ও করতে পারেন।

তবে আমল চলাকালীন চেষ্টা করবেন যেন ১ ওয়াক্ত নামাজও ক্বাজা না হয়। তবে মা বোনদের হায়েজ হলে ভিন্ন কথা, তবু্ও তাঁরা (মা বোনেরা) হায়েজ নেফাজ অবস্থায় আছেন, তাঁরা উচ্চারণ না করে মনে মনে আমল চালিয়ে যেতে পারবেন। কারণ পিরিয়ড অবস্থায় দোয়া হিসেবে কোরআনের আয়াত পড়া (মনে মনে) জায়েজ রয়েছে। ওই সময়ে দোয়া অর্থবহ আয়াত বা সূরা দোয়ার নিয়তে পড়া জায়েজ। যেমন দোয়ার নিয়তে আয়াতুল কুরসি বা সূরায়ে নাস ও ফালাক সূরা ইখলাস ইত্যাদি পড়া জায়েজ হবে। (ফাতহুল কাদির ১/১৬৮, রদ্দুল মুহতার ১/১৭২,আহসানুল ফাতাওয়া ২/৭১)

•••••••• { Onlineinventionbd ~ is one of the best useful news™, Online Earning, BD Government jobs, update tips & tricks based website in Bangladesh } •••••••••

 
তো সেই দোয়া বা পবিত্র কোরআনের আয়াতটি হলোঃ


⭐প্রিয় ভাই ও বোনেরা লাইক কমেন্ট শেয়ার করে ইসলামি দাওয়াতে আপনিও অংশগ্রহণ করুন।প্রিয় বন্ধুরা জানার স্বার্থে দাওয়াতি কাজের স্বার্থে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।হতে পারে আপনার একটি শেয়ার বহু মানুষ উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।


onlineinventionbd.blogspot.com আমাদের সাইটের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ !!!🌺🌺🌺 " আমরা আমরা নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিষয়সমূহ, অনলাইন আর্নিং, ব্লগার এসইও টিপস, বিডি সরকারী বেসরকারী চাকরী, সংবাদ, অনলাইন টিপস ইত্যাদি বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করি 💬" ⚜️ আশা করব আমাদের প্রতিটা পোস্ট আপনাদের কাছে ভাল লাগবে🎁🎁🎁 ❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️