গর্ভবতী মায়ের শারীরিক যত্ন নিতে হয় কি ভাবে


⚜️আস্সালামুআলাইুম⚜️…... বন্ধুরা ! কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। গর্ভবতী মায়ের শারীরিক যত্ন  কি ভাবে নেবেন ,  আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ । কোল জুড়ে অনাগত শিশুর আগমনে মা অধিক আগ্রহে অপেক্ষা করেন । কাই সুস্থ ও সবল শিশু জন্ম দিতে হলে শিশুর জন্মের পূর্বেই মাকে প্রস্তুতি নিতে হবে । একটি শিশুর জীবনে মায়ের প্রভাব বেশি সেজন্য গর্ভকালীণ পর্যায়ে মায়ের শারীরিক ও মানসিক যত্নের প্রয়ােজন । শিশু মায়ের দেহের অংশ হিসেবে অবস্থান করে । এসময় শিশুর বৃদ্ধির হার অত্যন্ত বেশি হয় । মায়ের খাদ্য থেকে শিশু পুষ্ঠি পায় , মা যদি সুষম ও উপযােগী খাদ্য গ্রহন করেন তা হলে শিশুর শারীরিক গঠন সঠিক হবে । মা নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকবেন । সংক্রামক রােগের আক্রমন থেকে দূরে থাকবেন , সময়মত গােসল ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন । হালকা ব্যায়াম করে শরীরকে সতেজ রাখবেন । সঠিক পােশাক পরিধান ও বিশ্রাম নিবেন । এসময় মাকে চাল - চলনে , আচার - আচরণে ও কথাবার্তায় সংযত মনােভাব পােষণ করতে হয় । কারণ মায়ের আচার আচরণ গর্ভস্থ শিশুর দেহে ও মনে প্রতিফলন ঘটায় । মায়ের অত্যধিক উত্তেজনা ও ক্রোধ গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করে । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলাে গর্ভবতী মায়ের অবশ্যই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রয়ােজন । গর্ভাবস্থায় জ্বণের প্রতিটি বিকাশ পর্যায়ে বিপত্তি দেখা দিতে পারে । সেজন্য একজন গর্ভবতীর শারীরিক ও মানসিক যত্নের প্রয়ােজন ।
প্রাণীজগৎ এবং উদ্ভিদ জগৎ উভয়ই খাদ্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকে । খাদ্য গ্রহণ কবলে দেহের ক্ষয় পূর , বৃদ্ধিসাধন , তাপ ও শক্তি উৎপাদন ইত্যাদি কাজ সাধিত হয় । তাই খাদ্য গ্রহণ দেহের সুস্থতার জন্য একান্ত অপরিহার্য । খাদ্যের সংজ্ঞা  মাত্রই খাদ্য নয় । খাদ্যের কতকগুলো গুণ থাকতে হয় । খাদ্য লেহের পুষ্টি সাধন নাৱে । যে ঋল্য খেলে দেহের পুষ্টি সাধন হয় না বা যা হজম করা যায় না তা খাদ্য নয় । আবার জন্তু - জানোয়ারের যে খাদ্য ; যেমন- খড় , দাস , সুখি ইত্যাদি তা মানুষের খাদ্য নয় । সুতরাং খাদ্যের সংজ্ঞা এভাবে দেয়া যায় , মানুষ যেসব দ্রব্য পরিপাক করতে পারে এবং সা খেলে মানুষের দেহের ক্ষয়পূরণ , পরিপােষণ , বৃদ্ধি সাধন এবং তাপশক্তি উৎপাদনে নিশ্চিত হয় তাকেই খাদ্য বলা যায় । অন্যকথায় বলা যায় মানুষ যা খেয়ে জীবন ধারণ করে তাই খাদ্য । পুষ্টি ও খাদ্য গ্রহণ করার উদ্দেশ্য হল দেহকে সুস্থ এবং কর্মক্ষম রাখা । এজন্য এক ধরণের খাদ্য আমরা খাই না । দেহের নানা ধরণের অভাব মেটাতে গিয়ে নানা ধরণের খাদ্য দরকার হয় । যে খাদ্য খেলে শরীরের সুস্থতা নিশ্চিত হয় এবং যে খাদ্যের মধ্যে শরীরের বৃদ্ধি সাধন , ক্ষয়পূরণ , তাপ ও শক্তি উৎপাদনের সহায়ক হয় সে খাদ্যই পুষ্টিকর খাদ্য । পুষ্টি দেহের সার্বিক চাহিদা পূরণ করে । মানুষ যেসব খাদ্য গ্রহণ করে তা দেহের অভ্যন্তরে নানারকম কাজ করে থাকে । যে প্রক্রিয়ায় খাদ্য পরিপাক ও পরিশোধিত হয়ে দেহের অভ্যন্তরীণ কোষে ছড়িয়ে দেহের চাহিদা পূরণ করে তাকে পুষ্টি বলে । পুষ্টি সাধনের প্রক্রিয়া ও সব খাদ্যই সমান পুষ্টিকর নয় । খাদ্যের উপাদানগুলােকে ছয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে । তা হলাে  প্রােটিন জাতীয় ও আমরা যখন আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করি তখন তা আমাদের দেহে ক্ষয়পূরণ , বৃদ্ধিসাধন করে । মাছ , মাংস , ডিম , দুধ , চীনাবাদাম , ডাল , মটর , সয়াবীন , চাল , আটা ইত্যাদিতে প্রােটিন আছে । খাদ্যের ছয়টি উপাদানের মধ্যে প্রােটিনের চাহিদা খুব বেশি । পুষ্টি বিজ্ঞানী শেরম্যান সিদ্ধান্ত দেন যে , একজন পূর্ণবয়স্ক লােকের প্রতি কিলােগ্রাম দেহের ওজনের জন্য এক আমি প্রােটিন দরকার । এ তুলনায় শিশুদের চাহিদা অনেক বেশি । একটি ক্রমবর্ধমান শিশু প্রতি কিলােগ্রাম দেহের ওজনের জন্য দৈনিক দু থেকে আড়াই গ্রাম প্রােটিনের প্রয়ােজন । অসুস্থতার পরে প্রােটিনের চাহিদা বৃদ্ধি পায় । গর্ভবতী মায়ের খাদ্যে প্রােটিনের চাহিদা বেশি । গর্ভধারণকালে দেড় থেকে দু গ্রাম এবং প্রসূতিকালে দু থেকে আড়াই গ্রাম প্রােটিনের প্রয়ােজন হয় । এ সকল খাদ্য গ্রহণ করলে আমাদের দেহের অভাব পূরণ করে এবং পুষ্টিসাধন করে । শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য ও চিনি , গুড় , মধু , চাল , ডাল , গম , ছােলা , সুজি , ময়দা এবং মাটির নিচের সবজি শর্করাজাতীয় খাদ্যের অন্তর্ভূক্ত । এ খাদ্য গ্রহণ করলে দেহে তাপ উৎপাদিত হয় এবং কর্মশক্তি বৃদ্ধি পায় । এ দুটো কাজের পূর্ণতা সাধনের জন্যই শর্করাজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা দরকার । মানুষ তার চাহিদার দু - তৃতীয়াংশ শর্করা জাতীয় খাদ্য দ্বারা পূরণ করে । এ খাদ্য গ্রহণে সচেতন হলে আমাদের দেহ পুষ্টি , কর্মক্ষম ও বলশালী হবে । একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ক্যালােরি চাহিদার শতকরা ৬০ ভাগ শর্করাজাতীয় খাদ্য দ্বারা পূরণ করা উচিত ।  স্নেহজাতীয় খাদ্য  ঘি , মাখন , বিভিন্ন ধরণের ভেষজ ও প্রাণিজ তেল এবং ডালডা ইত্যাদি স্নেহজাতীয় খাদ্য । এ খাদ্যের প্রধান কাজ দেহের তাপ ও কর্মশক্তি সরবরাহ করা । যারা বেশি পরিশ্রমী ত্যদের স্নেহজাতীয় খাদ্যের প্রয়ােজন বেশি । যারা কম পরিশ্রমী তাদের চাহিদা কম । তারা যদি খাদ্য বেশি গ্রহণ করে তাহলে শরীরের মেদ বেড়ে যায় । স্নেহজাতীয় খাদ্য দেহের চাহিদা অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত । একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ক্যালােরি চাহিদার শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ স্নেহজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয় ।  ধাতব লবণ ও ধাতব লবণ কতগুলাে মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত । এ পদার্থগুলাে হল- ক্যালসিয়াম , পটাসিয়াম , সোডিয়াম , লৌহ , ম্যাগনেসিয়াম , ম্যাঙ্গানিজ , জিঙ্ক , তাম্র , লিথিয়াম , বেরিয়াম , ফসফরাস , গন্ধক , ক্লোরিন , আয়ােডিন , সিলিকন ইত্যাদি । এগুলাে দেহের মাংসপেশী এবং স্নায়ুকে উত্তেজিত করে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে । এককথায় ধাতব লবণ মানবদেহের নানা অভাব পূরণ করে ।  ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ ও খাদ্যে যে দেহ গঠনমূলক সক্রিয় পদার্থ থাকে তাকে ভিটামিন বলে । কোন খাদ্যে কি পরিমাণ ভিটামিন আছে এবং কোন ভিটামিন গ্রহণ করলে দেহের কি কি ক্ষয়রােধ করা যায় তা গবেষণা করে বের করা হয়েছে এবং খাদাদ্রেব্যে এ ভিটামিনের পরিমাণ কি হারে আছে তাও নির্ধারিত । সুতরাং দেহের পুষ্টিসাধনের নিমিত্তে উপযুক্ত পরিমাণে ভিটামিনযুক্ত খাদ্য চাহিদা অনুযায়ী গ্রহণ করলে দেহের পুষ্টি সাধন নিশ্চিত হয় । পানি ও দেহের জন্য পানি অত্যাবশ্যক । দৈনিক একটি লােকের জন্য কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ সের পানির প্রয়ােজন আমরা নদী , পুকুর বা টিউবয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করি । পান করার পূর্বে এ পানি বিশুদ্ধ কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে । বিশুদ্ধ পানি পান করলেই দেহের পুষ্টি সাধিত হয় । উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে , খাদ্য গ্রহণ অত্যাবশ্যক । কিন্তু তা পরিমাণমত প্রয়ােজনের দিকে লক্ষ্য রেখে গ্রহণ করা উচিত ! অধিক খাদ্যগ্রহণ করলে দেহের পুষ্টি সাধিত হতে পারে ।
 onlineinventionbd.blogspot.com আমাদের সাইটের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ !!!🌺🌺🌺 " আমরা আমরা নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিষয়সমূহ, অনলাইন আর্নিং, ব্লগার এসইও টিপস, বিডি সরকারী বেসরকারী চাকরী, সংবাদ, অনলাইন টিপস ইত্যাদি বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করি 💬" ⚜️ আশা করব আমাদের প্রতিটা পোস্ট আপনাদের কাছে ভাল লাগবে🎁🎁🎁 ❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️