একজন মানুষের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আ ছে কিনা জেনে নিন


⚜️আস্সালামুআলাইুম⚜️…... বন্ধুরা ! কেমন আছেন সবাই? 🎀আশা করি সবাই ভালো আছেন । 
 •••••••• { Onlineinventionbd ~ is one of the best useful news, Online Earning, BD Government jobs, update tips & tricks based website in Bangladesh } •••••••••

ইবাদতসমূহের মধ্যে তওবা অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি সর্বাবস্হায় সর্বত্র সকলের জন্য প্রযোজ্য।তওবা মানুষের জীবনের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় তওবা হলো →স্হায়ী অনুশোচনা ও অধিক ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করা।

(দুনিয়া সম্পর্কে হাদিসের বাণী) :-

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-বলেছেন,

“আমার ও দুনিয়ার দৃষ্টান্ত হল একজন আরোহী যে গাছের ছায়ায় কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নেয় অতঃপর গাছটিকে ছেড়ে চলে যায়।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, আহমাদ)

“আমি একদিন পরিতৃপ্ত ও আরেক দিন অভুক্ত থাকতে চাই।” (আহমাদ, তিরমিযী, আবু উমামা রাঃ)

তোমরা ঢেকুম কম কর।” (তিরমিযী)

onlineinventionbd 

“আমি কি তোমাকে সুস্বাস্থ্য দিই নি? আমি কি তোমাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিতৃপ্ত করি নি?” (তিরমিযী, আবু হুরায়রা রাঃ)

এক ব্যাক্তি এক দীনার রেখে মারা গেলে রাসুল সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বললেন, এটা একটা পোড়া দাগ। আর একজন দুই দীনার রেখে মারা গেলে বললেন, এটা দুটি পোড়া দাগ। (আহমাদ, বায়হাকী, আয়েশা রাঃ)

“দুনিয়ার সেই ব্যাক্তিই মাল সঞ্চয় করে যার আকল বা বুদ্ধি নেই।” (আহমাদ, বায়হাকী, আয়েশা রাঃ)

“তোমরা আখেরাতের সন্তান হয়ে যাও, তোমরা দুনিয়ার সন্তান হয়ো না।” (আবু নোয়াইম শাদ্দাদ রাঃ)

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর বান্দাহর তওবায় তোমাদের ঐ ব্যাক্তির চেয়েও বেশী আনন্দিত হন যার উট মরুভুমিতে হারিয়ে যাবার পর সে তা ফিরে পেল। (বুখারি, মুসলিম, আনাস বিন মালেক রাঃ)

ইবনে উমার রাঃ বলেন, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আমার কাধ ধরে বললেন, “তুমি দুনিয়াতে এভাবে সময় কাটাও যেন তুমি একজন মুসাফির।”

তওবা প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমের সূরা আন নুরে ইরশাদ হয়েছে →হে মুমিনরা! তোমার সবাই আল্লাহর নিকট তওবা করো, যাতে তোমার সফলকাম হতে পারো।তওবাকারীকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন।

এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে →মহান আল্লাহ তওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন। (সূরা আল বাকারা ২২২)

onlineinventionbd blog

আল্লাহ তায়ালা তওবাকারীর তওবা কবুল করে তাকে শুধু পাপ মুক্ত করেন না বরং তার পাপকে পুন্যে রুপান্তরিত করেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন →তবে তারা নয়,যারা তওবা করে ইমান আনে ও সৎকর্ম করে।আল্লাহ তায়ালা তাদের পাপকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু (সূরা আল ফুরকান ৭০)

যাদের তওবা কবুল করা হয়:

তারা হলো অজ্ঞাতবশত পাপকার্যে লিপ্ত হওয়া পর যারা তওবা করা আল্লাহ তায়ালা তাদের তওবা কবুল করে থাকেন। এছাড়া আরো যাদের তওবা কবুল করে হয় তারা হলো – যারা পাপকর্ম থেকে বিরতি থেকে নিজেদের সংশোধন করে নেয়,ইমান আনার পর সৎকর্ম সম্পাদন করে। না দেখেই আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করে, তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহর উদ্দেশ্য স্বীয় জানমাল উৎসর্গ করে,আল্লাহর পথে দান সদকা করে

হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর যথাযথ অনুসরণ করে, মানুষের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেয়,সর্বদা সত্য কথা বলে, এবং যারা সব ধরনের কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে

onlineinventionbd blog

যাদের তওবা কবুলযোগ্য নয়:

১.যারা শিরকে লিপ্ত হয়। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন → আল্লাহ তার শরিক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না।এটা ব্যতিত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন এবং যে কেউ আল্লাহর শরিক করে সে এক মহাপাপ করে। (সূরা আন নিসা ৪৮)

২.যাদের মধ্যে মুনাফিকের দোষ বিদ্যমান। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে → তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো অথবা না করো,উভয়ে তাদের জন্য সমান।আল্লাহ তাদেরকে কখনো ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।(সূরা আল মুনাফিকুন ৬)

৩.যারা সীমালঙ্ঘন করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন → যারা কুফরি করেছে ও সীমালঙ্ঘন করেছে আল্লাহ তাদেরকে কখনো ক্ষমা করবেন না এবং তাদেরকে কোন পথও দেখাবেন না (সূরা আন নিসা ১৬৮)

৪.যারা ইমান আনার পরেও পুনঃ পুনঃ /বারংবার কুফরি করে।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন → যারা ইমান আনে ও পরে কুফরি করে এবং আবার ইমান আনে,আবার কুফরি করে। অতঃপর তাদের কুফরি বৃদ্ধি পায়, আল্লাহ তাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করবেন না এবং তাদেরকে কোনো সঠিক পথে পরিচালিত করবেন না। (সূরা আন নিসা ১৩৭)

(অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসের নাম ইমান, মুনাফিকরা স্বার্থসিদ্বির জন্য ইমান এনেছে,বলে মুখে প্রকাশ করত,আবার সুযোগ সুবিধা পেলে সেটা অস্বীকার করতে দ্বিধাবোধ করত না, আলোচ্য আয়াতে তাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে)

৫.যারা কুফরি অবস্থার মৃত্যুবরণ করে। মহান আল্লাহ বলেন →যারা কুফরি করে ও আল্লাহ পথ হতে মানুষকে নিবৃত্ত করে, অতঃপর কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, আল্লাহ তাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করবেন না। (সূরা মুহাম্মদ ৩৪)
 •••••••• { Onlineinventionbd ~ is one of the best useful news, Online Earning, BD Government jobs, update tips & tricks based website in Bangladesh } •••••••••
এখন আমার জানবো যে দুই সময় তওবা কবুল হয় না

১.সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়ার পরঃ

সাহাবী হযরত আবু মুসা আশআরি (রা.) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন →নিশ্চয়ই আল্লাহ রাতে তাঁর হাতকে সম্প্রসারণ করেন, যাতে দিনের পাপীরা তওবা করতে পারে।এ অবস্থার সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়া(কিয়ামত) পর্যন্ত চলতে থাকবে।(সহিহ মুসলিম, হাদিস নাম্বার ২৭৫৯)

২.মৃত্যুর ঠিক আগ মুহুর্তে, যখন আজরাইল (আঃ) এর দেখা পাবে,অর্থ্যাৎ রুহ গলদেশ এসে আটকাবার পরে তওবা কবুল হবেনা :

এ প্রসঙ্গে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল আকরাম (সাঃ) বলেছেন → রুহ গলদেশ এসে আটকাবার পূর্বে পর্যন্ত আল্লাহপাক বান্দার তওবা কবুল করেন(মিশকাত হাদিস ২৩৪৩)

হাদীসে এসেছে, সব আদম সন্তানই গুনাহগার, গুনাহগারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তওবাকারীরা (তিরমিজি হাদিস ২৪৯৯; ইবনে মাজাহ হাদিস ৪২৫১)

তাই আমাদের সময় থাকতে তওবা করতে হবে। কমপক্ষে দিনে ৭০ বারের বেশি তওবা আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বেন।কেননা দৈনিক ৭০ বার তওবা করলেও মাফের আশ্বাস আছে।

হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) হতে বর্ণিত রাসুল (সাঃ) বলেন → যে ব্যক্তি ইস্তিগফার করে (গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পর লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা) পরে তওবা করে, তবে তা বার বার হিসাবে গন্য হবে না; যদিও সে ব্যক্তি দৈনিক ৭০ বারও এরূপ করে। (আবু দাউদ হাদিস ১৪১৫)

আরেকটি হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী (সাঃ) বলেন → তোমার আল্লাহ কাছে তওবা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। আমি দিনে ১০০ বার তওবা করি। ( সহিহ মুসলিম ৭০৩৪)

তাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তওবা কবুলের সুযোগ আছে। মৃত্যু কার কখন আসে কেউ জানেনা তাই এখনি একবার চলুন তওবা করে নেই তওবার অনেক গুলো দোয়া রয়েছে তার মধ্যে একটি দোয়া হলো :

আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি

অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব।তিনি নিখিল সৃষ্টির পরিচালক। আমি তার কাছেই ফিরে যাব।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন →যেই ব্যক্তি এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তাকে ক্ষম করে দেবেন। যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামি হয়।(অর্থ্যাৎ সে যদি বড় রকমের গুনাহগারও হয় তবুও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। (তিরমিজি ৪/৬৯; আবু দাঊদ ২/৮৫;মিশকাত হা/২৩৫৩; হাদিসটি সহিহ ঃ সিলসিলা সহীহাহ)

এছাড়াও বিশিষ্ট সাহাবী হযরত জায়েদ (রা.) আরেকটি হাদিস বর্ণনা করেন হযরত নবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন → যে ব্যক্তি এ দোয়াটি পাঠ করবে তার (জীবনের) সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ। (আবু দাউদ ১৫১৯;তিরমিজি ৩৫৭৭)

 •••••••• { Onlineinventionbd ~ is one of the best useful news, Online Earning, BD Government jobs, update tips & tricks based website in Bangladesh } •••••••••

জনৈক ব্যক্তির জিন্দেগী রাশি রাশি পাপে ভরপুর। বর্তমানে সে এক জটিল রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা নেয়ার বহু চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। ডাক্তার বলেছেন, এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই। এ পর্যায়ে এসে তিনি অত্যন্ত অনুতপ্ত এবং গুনাহ থেকে তওবা করতে ইচ্ছুক। যে রোগ থেকে মুক্তির আশা নেই এমন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত এই ব্যক্তির তওবা কী শুদ্ধ হবে?

যে ব্যক্তি জীবনের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে তার তওবা শুদ্ধ হবে। তার এ নিরাশার কারণ কোন রোগ হোক যেমন- ক্যান্সার। অথবা হত্যার শাস্তি তথা শিরোচ্ছেদের মুখোমুখি হওয়া এবং জল্লাদ তলোয়ার নিয়ে তার মাথার উপরে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে হোক। অথবা বিবাহিত ব্যক্তির ব্যভিচারের শাস্তি তথা ‘পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড’ কার্যকর করার জন্য পাথর স্তূপ করার কারণে হোক। এদের সবার তওবা শুদ্ধ হবে।

কেননা মৃত্যুর গড়গড়া শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তওবা কবুল করেন। দলিল হচ্ছে আল্লাহ তাআলার বাণী: “অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদের তওবা আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।” [সূরা নিসা, আয়াত ১৭]। “অনতিবিলম্বে তওবা করে” এ কথার অর্থ হলো- মৃত্যুর আগে তওবা করে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “আর এমন লোকদের জন্য তওবা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকে আমি এখন তওবা করছি।” [সূরা নিসা, আয়াত ১৮]

কিন্তু তওবার পাঁচটি শর্ত রয়েছে। এ শর্তগুলো পূর্ণ করতে হবে। সেগুলো হচ্ছে- ইখলাস (অকপটতা), কৃতপাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, অনতিবিলম্বে পাপ ছেড়ে দেওয়া, ভবিষ্যতে পুনরায় গুনাহ না-করার দৃঢ় সংকল্প করা এবং তওবা কবুল হওয়ার সময়সীমার মধ্যে তওবা করা। অর্থাৎ তওবা করতে হবে মৃত্যু শুরু হওয়ার পূর্বে এবং পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় শুরু হওয়ার আগে।

উৎসঃ শাইখ উছাইমীনের “লিকাউল বাব আল-মাফতুহ” ৫৩/৭৩

প্রিয় ভাই ও বোনেরা লাইক কমেন্ট শেয়ার করে বহু মানুষ উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।



onlineinventionbd.blogspot.com আমাদের সাইটের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ !!!🌺🌺🌺 " আমরা আমরা নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিষয়সমূহ, অনলাইন আর্নিং, ব্লগার এসইও টিপস, বিডি সরকারী বেসরকারী চাকরী, সংবাদ, অনলাইন টিপস ইত্যাদি বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করি 💬" ⚜️ আশা করব আমাদের প্রতিটা পোস্ট আপনাদের কাছে ভাল লাগবে🎁🎁🎁 ❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️❄️